অক্ষর লিপি-১
ফাঁকা কলতলা। লাজ লজ্জাহীন। যুবতীর স্নান দেখে আর জল ফেলে
ফেলা। ফেল করার পর । পরীক্ষা দেয় না। অটো ধরে আর তোলা দেয়
দেওয়া। একটি কর্তব্যের নাম। নামাবলী গায়ে গণতন্ত্রের পুরোহিত বলে
বলবান খাড়া হলে। হলও পূর্ণ। পুরনো সিনেমাহল হারিয়ে গেলে জেগে ওঠে মাল্টিপ্লেক্স
ফ্লেক্স এসে জায়গা নিলে কাপড় রঙ তুলি ভোগে বিলুপ্ত বেদনায়…
অক্ষর লিপি-২
সালোয়ার কামিজ। জমিয়ে দিয়েছে
তোমায়। মায়ার সাজ। জমকালো।
লোকে অলৌকিক ভাবে
বেশ। শক থেকে সরে চোখ জ্বালাই। ইশক দিওয়ানা করে।
রেখা বা রাখী বসে চোখের পর্দায়
দায়বদ্ধ হই। ঈশ্বরী তুমি কবিতার।
তারে তারে গান তোলো। লঘু স্বরে
আনন্দ বাজে
অক্ষর লিপি-৩
বিছানা শব্দ করে৷ অনিদ্রা বাড়ে৷
জানালার আকাশ ছড়িয়ে ঠান্ডা চাঁদ।
রূপালীর খোলস খোলে
খোলাখুলি দেখতে দেখতে খুলিরও লালা রাত্রির আগুন উসকে দেয়। লাল হয়ে ওঠে অঙ্গার।
গা একটি র গান গেয়ে ওঠে।
ঠেক ঠেকিয়ে রাখতে পারে না
রং ৷ রংবাজ জানে কৌশল
শলাপরামর্শ তুলে রেখে দেখো
ঠোঁট কেটে ভোর ঢুকে গেছে
অক্ষর লিপি-৪
ভেজা মেয়ে দেখছে ভেজা মেয়ে। এসবের ভিতর শরীর। রঙ সরে গেলে পুরনো দেওয়াল আর যন্ত্রণা
নারদ জানে। অনন্ত শয্যার রহস্য। সবাইকে লক্ষ্মী হতে হয়। বৈকুন্ঠের এমনই টান কুন্ঠা এলেই তৃতীয় অবতার
তার ছিঁড়ে গেলে গান থামে। শাড়ি ও অন্তর্বাস উড়ে যায়। লিঙ্ক হারিয়ে শুধু চুপচাপ কমলকুমার আর
গোলাপ সুন্দরী
রিসাইকেল বিন। বিনয় প্রকাশ। স্ব চাকায়। অঘ্রাণের অনুভূতি মালায়
গণিতের জটিল তত্ত্ব সরল শীত কুয়াশায় মাখা
শান্ত প্রেম এসে কবির জীবনে অক্ষর পাল্টে দেয় আর পাতাও পাতাতে পারে না ভাব পাতায়
অক্ষর লিপি-৫
গান ফিরোজা সুর কমল। মলম লাগাতে পারছে না। নানার রেডিওতে বাজে না বীরেন্দ্রকৃষ্ণ। কৃষ্ণবাবুর প্রাণ আব্বাসউদ্দিন করে পাণি চায়
চাইলেও মেলে না ভূমি। মিয়া ওপারে কাঁদছে। ছেড়ে আসার দুঃখ বইছে নিতাই। তাই জোড়া
লাগে না ভাইচারা
রাতের অন্ধকারে দুপারে উদ্বাস্তু কলোনি দেখে সব লাভ কেটে কারা যেন বসিয়ে দিয়েছে পথে আর মহাপ্রস্থানের আগে ফুরোবে না এ বিষাদসিন্ধু গাথা